| মো: আকতার হোসেন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার ২ নং বোয়ালখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের পশ্চিম কাঁঠালতলীর স্থায়ী বাসিন্দা অনিল দে। পেশায় দিনমজুর, পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে ছাউনী দেওয়া ভাঙ্গা ঘরে করছে বসবাস।
২০১৮ সালে অনিল দে এর ২য় ছেলে সুজন (৩২) দীর্ঘদিন বুকে ব্যাথা নিয়ে অসুস্থ ছিলেন, সুজনের পরিবারে দুটি জমজ কন্যা সন্তান হয়, সন্তান জন্মের ৩ মাস পরেই বুকের ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। মৃত ছেলের সদ্য জন্মানো দুটি শিশু নিয়ে কোন ভাবে কেটে যাচ্ছে দিনমজুর অনিল দে’র সংসার ।একদিকে বয়স বাড়ছে নাতনী আরোহি(৮), আরাত্রা’র(৮)।দুজনেই পড়ালেখা করছেন দীঘিনালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে। অন্য দিকে বয়স বাড়ায় কমছে অনিল দে’র পেশিশক্তি, কমছে দৈনিক কাজের পরিমাণ ও।
দিনমজুরির কাজ করে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে কোন ভাবে টেনে পুড়ে কেটে যাচ্ছে বৃদ্ধ অনিলের শীতের দিন গুলো। বাঁশের বেড়া পলিথিন, আর টিনের কাটা টুকরো দিয়ে বেড়া দেওয়া ঘরে চলছে বসতি। রাতের শীতে চারিদিকে যখন হু হু করে বাতাস তখন ভাংঙ্গা ঘরের ফাঁকে দিয়ে ডুকে বাতাস তবুও রাত্রী যাপন করে যাচ্ছে অনিল দে, ছেলে মেয়ে বউ আর ২ নাতনী কে নিযে ৫ সদস্যের পরিবার তার।
দিনমজুরী করে যা টাকা পান তা দিয়ে কোন মতে খেয়ে পরে দিন পার হলেও জুটে না ঘর বাড়ি ঠিক করার টাকা। দিনমজুরী করে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা করে পান, তা দিয়ে ২ নাতনী পড়ালেখা আর সংসারের নিত্য প্রযোজনী খাবার কিনতেই চলে যায় টাকা, মাস শেষে মাথায় নিতে হয় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ঋণের বোঝা ।
শীতের রাত যে শুধু অনিল দের কষ্ট তা কিন্তু না! বর্ষায় বৃষ্টি আর হিঁচড়ে আসা পানিতে ঘর থই-থই করে। রাতের কষ্ট টা বেশি অন্ধকার তার উপর দুটি শিশু নিয়ে বর্ষা মৌসুমে রাত্রীযাপন।
অনিল দে জানান, আমার ঘরটি জরাজীর্ণ , বেড়া নেই, বাঁশ আর টিনের টুকরো দিয়ে ছাপড়া দিয়ে কোনমতে বউ-নাতনী নিয়ে দিন পার করছি,৷ কাজ তো আর সবমসময় থাকে না, ১দি ন কাজ থাকলে ৭ দিন বসে থাকতে হয়। সরকারি ভাবে ঘর দেওয়া হচ্ছে, আমার এই করুন অবস্থায় সরকারি ঘর পেলে কোনমতে আরাম করে নাতনি গুলোকে সাথে নিয়ে বাঁচতে পারবো।
২য় শ্রেণীর ছাত্রী আরোহি(৮) বলেন দাদু যা টাকা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোনমতে সবাই বেঁচে আছি,আমাদের শীত-বর্ষায় অনেক কষ্ট করতে হয়।
Pbn24
©2020-pbn24.com প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | Design MasudTech